ইসলামের দৃষ্টিতে কৌতুক/কমেডি।
ইসলামের দৃষ্টিতে কৌতুক/কমেডি
প্রাচীন যুগ থেকে মানুষ আমোদপ্রিয়। তাই মানুষকে আকৃষ্ট করতে যুগ যুগ ধরে ব্যাবসায়িক পণ্য বিক্রি ও রাজনৈতিক প্রচারণায় কমেডির ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমান যুগে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। তাই ব্যক্তিগত পর্যায়েও অনেকে কমেডি ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিচ্ছে। কাজটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে দিন দিন বাড়ছে নতুন নতুন অ্যাপ।
এ ছাড়া বিভিন্ন দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল চালু করেছে নতুন নতুন কমেডি শো, যেখানে মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা ও অশ্লীল কৌতুকগুলোই বেশি শোনানো হয়। এ কারণেই হয়তো বিশ্ববিখ্যাত গ্রিক দার্শনিক প্লেটো বলেছিলেন, কৌতুকাভিনয় হলো আত্ম-অবক্ষয়। তাঁর মতে, কৌতুকাভিনয় এমন অনুভূতির সঞ্চার করে, যা নৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষাকে অগ্রাহ্য করে।
কমেডিকে পেশা হিসেবে নেওয়া কোনো মুমিনের জন্য শোভা পায় না। কৌতুক মানুষকে আল্লাহর জিকির থেকে দূরে রাখে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা কথা খরিদ করে, আর তারা ওগুলোকে হাসিঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর শাস্তি। (সুরা : লুকমান, আয়াত : ৬)
কমেডিয়ানরা সাধারণত মানুষকে হাসানোর জন্য বিভিন্ন গল্প বানিয়ে বলে। বাস্তবে যার কোনো ভিত্তি থাকে না। সম্পূর্ণ একটি মিথ্যা গল্প দিয়েই তারা মানুষের মনোরঞ্জন করে। হাদিসে এ ধরনের কাজকে নিষেধ করা হয়েছে। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, মিথ্যা বাস্তবিকপক্ষেও নয় এবং ঠাট্টাচ্ছলেও সংগত নয়। তোমাদের কেউ তার সন্তানকে কিছু দেওয়ার ওয়াদা করে তা তাকে না দেওয়ার বিষয়টিও সংগত নয়। (আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৩৮৮)
অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মানুষকে হাসানোর জন্য যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস, তার জন্য ধ্বংস। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৯০)
কোন মন্তব্য নেই