আল্লাহর তিনটি নামের যৌক্তিকতা !

সূরাতুন নাসে আল্লাহর তিনটি নামের যৌক্তিক অগ্রগতি
[রাব্বিন নাস, মালিকিন নাস, ইলাহিন নাস]   


 চলুন, প্রথমে নিজেদের অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে দেখিঃ

 
আমার একটি ছাগল থাকতে পারে, কিংবা গরু বা উট। আমি এর প্রয়োজনগুলোর খেয়াল রাখি। এরপর একটা বেড়া তৈরি করে দেই। কখনো বেড়াটি বেশ বড় হয়। এরপর একে বলি— মুখে বলি না— কিন্তু সে জানে যে, যতক্ষণ এই সীমার মধ্যে থাকবো ইচ্ছেমত ঘুরাঘুরি করা যাবে। প্রাণীটি নিজের পুরো জীবন সেই সীমানার মধ্যেই কাটাতে পারে, সমস্যা ছাড়াই। সে খুশি। কোন অসুবিধা নেই। কারণ—
 
এক, সে সুরক্ষিত আর তার খেয়াল রাখা হচ্ছে। 
দুই, সে আমার দেয়া সীমানা মেনে নিয়েছে।
এরকম যখন হয়, তার জীবন সুন্দর। কোন চাহিদা নেই।
কিন্তু অন্যদিকে, মানুষ এমন হতে পারে না। আমরা এভাবে কাজ করি না। আমাদের মানসিকতা এমন না। আমাদের মানসিকতা প্রানীদের থেকে একদমই ভিন্ন।  
আপনি একজন মানুষকে একটি বাড়ি দিলেন অথবা একটি এপার্টমেন্ট। সেই মানুষটিকে আপনি চাকরিও দিলেন যেন সে নিজে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে। এটাকি তার জন্য যথেষ্ট? নাকি সে আরও বেশী কিছু চাইবে? সে আরও বেশী কিছু চাইবে। সে আরও ভালো কিছু চাইবে। আমি কিন্তু লোভের কথা বলছি না। বুঝে নিন কি বলছি আমি। 
আল্লাহ মানুষের মধ্যে এমন কিছু দিয়েছেন যা অন্য কোন প্রাণীকে দেননি— নিজের চাইতে বড় কিছু অর্জন করার আকাঙ্ক্ষা। নিজের চাইতে বড় কিছুতে পৌছানোর আকাঙ্ক্ষা।  
মানবজাতি… এমনকি নাস্তিক, ইহুদি, খৃষ্টান মুসলিম যে-ই হোক না কেন। যদি আপনার কোন শিক্ষাগত ডিগ্রী না-ও থাকে, যদি কোন ভালো চাকরি নাও থাকে, যদি কোন সম্মানজনক পেশাতেও না থাকেন আপনি, আপনার মাথার মধ্যে কিন্তু এই চিন্তাটা থাকে— যদি কিছু অর্জন করতে পারতাম ! জীবনে যদি আরো বেশী কিছু করতে পারতাম। পৃথিবীতে যদি স্মরণীয় কিছু করে যেতে পারতাম। পৃথিবীর জন্য যদি কোনো অবদান রাখতে পারতাম। এমন না যে এগুলো মানুষকে দেখাতে চান কিংবা চান যে মানুষ আপনাকে নিয়ে কথা বলুক। আপনার ভেতরে কিছু একটা বলে উঠে— আমার আরও করা উচিত ছিল।     
 
আপনি সেটা অনুভব করেন? যা আপনার ভেতরে রয়েছে? আমার সামর্থের চাইতে বড় কোনো অবদান রাখা উচিত ছিল। যদি নিজেকে নিয়ে আরও বেশী কিছু করতে পারতাম।   
আসলে, এর মূল কারণ হলো— আল্লাহর সাথে আমাদের সাক্ষাত। এই দুনিয়াতে আসার আগে আমরা আল্লাহ্‌র সাথে সাক্ষাত করেছি। আর আমাদের অবচেতন মনে সেটাই হয়ে গিয়েছে চূড়ান্ত লক্ষ্য যেখানে আমরা পৌছুতে চাই। 
      
আমাদের চাইতে সর্ববৃহৎ যিনি, আমাদের চাইতে সর্বোচ্চ যিনি, তিনি আল্লাহ।
কিন্তু মানুষ যখন পৃথিবীতে আসে, তারা আল্লাহ্‌কে ভুলে যায়। তারা নিজেদের মতো করে জীবন যাপন করে। জানেন এরপর কি হয় ? তারা নিজেদের চাইতে বড় কিছুর পেছনে ছুটতে থাকে। সেটা যখন পায়, পেয়েও সন্তুষ্ট হয় না। এরপর আরও বড় কিছু অর্জনের পেছন ছোটে। এরপর আরও উপরের কিছু খুঁজে বেড়ায়। আরও উপরের কিছু… কখনো কি সন্তুষ্ট হয়? না।  
কিন্তু… মানুষ একটা জিনিস বুঝতে চায় না। এই যে উচ্চাভিলাষ, আল্লামা ইকবাল একে বলতেন, হায় জুসতুজু কি খুব সে হায় খুব তার কাহা? এই সাধনা… আমি শুধু উত্তম থেকে আরও উত্তম খুঁজে ফিরি। 
শিল্পী বলেন, আমি খুব সুন্দর এঁকেছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত আরও সুন্দর ছবি আঁকতে পারবো। 
কোন সাপ, কোন বানর, কোন ছাগল কিন্তু ভালো ঘাস খাওয়া নিয়ে চিন্তিত না। অথবা উত্তম কিছু উৎপন্ন করা নিয়ে… না! কিন্তু মানুষ! “আমি গাড়ির আরও ভালো ডিজাইন বানাতে পারবো! আরও ভালো অ্যাপ বানাতে পারবো। আরও সুন্দর ওয়েবসাইট বানাতে পারবো। আরও উন্নত বিল্ডিং বানাতে পারবো। আরও ভালো রিসার্চ করতে পারবো আমি… আরও বেশী খুঁজতে পারবো। আরও বেশী পারবো। ভালো পারবো। সারাক্ষণ শুধু ভালো আরও ভালো, আরও ভালো, আরও ভালো।  
জানেন এই নিখুঁত হবার ইচ্ছে কোত্থেকে এসেছে? আরও বেশী সুন্দরের আকাঙ্ক্ষা কোত্থেকে এসেছে?
আমরা সবচাইতে নিখুঁত সত্ত্বার সামনেই ছিলাম। আল্লাহ্‌র আল্লাহ্‌র সামনে ছিলাম। ইন্নাল্লাহা জামিলুন ইউহিব্বুল জামাল। আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য ভালোবাসেন। যখন আমরা তাঁর উপস্থিতিতে ছিলাম, আমরা স্বয়ং সৌন্দর্যেরই প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। আমরা নিখুঁততার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। 
তাই আমাদের জীবনে সবসময়ই আমরা কিছুকে আরও নিখুঁত আরও সুন্দর করতে চাই। আরও আগাতে চাই। কিন্তু আমরা উপলব্ধি করি না যে তা আসলে কাকে খুঁজে পাবার বৃথা চেষ্টা? আল্লাহ্‌কে। আমাদের ইলাহকে খুঁজে পাওয়া।
যদিও আপনার বর্তমান প্রয়োজন পূরণ হয়ে গেলো, আপনার প্রয়োজন পূরণ করে দিলেন রব্বুন নাস। আপনার সীমানা নির্ধারণ করেছেন… মালিকুন নাস। কিন্তু আপনার জীবনের উদ্দেশ্য… কোন সে বড় উদ্দেশ্য যার জন্য নিজের জীবনকে উতসর্গ করবেন? সেটাই আপনার ইলাহ, সেটাই ইলাহিন নাস। 
এটাই মানুষের মানসিক, আধ্যাত্মিক, আত্মিক বিবর্তন। এর জন্যেই মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্য সবাই, অন্য সকল প্রাণীর শুধু রব্ব আর মালিক থাকলেই যথেষ্ট। কিন্তু মানুষের প্রয়োজন একজন ইলাহ। তার ইবাদত করার জন্য কাউকে দরকার। ইলাহের অর্থটি স্মরণ করুন। আরাধনার বস্তু, চিন্তাকে আচ্ছন্ন করার বস্তু, বিস্ময়ে অভিভূত হওয়ার বস্তু, ভালোবাসার বস্তু, উপাসনার বস্তু। এসব অনুভূতি থেকেই তো ইবাদত! এটাই তো আমাদের আল্লাহকে পাবার সাধনা!   
 
যখন আমরা আল্লাহ্‌র নিরাপত্তা চাই এই নামগুলোর মাধ্যমে, তার অর্থ হচ্ছে,
“এটা তো আপনার সাথে আমার সম্পর্কের ভিত্তি ইয়া রব্ব! আর আমি আপনার নিরাপত্তা চাই—এক অর্থে— আমি আপনার নিরাপত্তা চাচ্ছি যেন সেই সম্পর্কের বিশুদ্ধতা নিজের মধ্যে সংরক্ষণ করতে পারি। কারণ, বাহিরের বিষয়াবলী আমাকে এমনভাবে প্রভাবিত করছে যার ফলে আপনার সাথে এই সম্পর্কের রশি আমার হাত থেকে ফসকে যাচ্ছে। আমি আমার উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলছি।” 
প্রসঙ্গত, একটি জিনিসের অবনতি হলে ক্রমান্বয়ে অন্যগুলোরও অবনতি হতে থাকে। 
আপনি জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেললেন। আপনার উদ্দেশ্য আল্লাহ্‌র চাইতে কম কোনো কিছু হয়ে গেলো। যখন আপনার উদ্দেশ্য আল্লাহ্‌র চাইতে কম কোনো কিছু হয়, তখন সেটার জন্য সাধনায় আপনি আল্লাহ্‌র দেওয়া হালাল-হারামের সীমা অতিক্রম করে ফেলেন। তাই না? আর যখন আল্লাহ্‌র সীমা অতিক্রম করে ফেলেন তখন বিশ্বাস করা শুরু করেন যে, অন্য কিছু একটা বা অন্য কেউ আপনার তত্ত্বাবধান করবে। আল্লাহ্‌র উপর ভরসা ছেড়ে দিলে আপনার সাথে আর আল্লাহর রব্ব হওয়ার সম্পর্কটি থাকলো না। আপনার জীবনে ভাঙন শুরু হয়। জীবনের সবকিছু ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে, যখন আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্য আর আল্লাহ থাকেন না।       
এটি খুবই শক্তিশালী ধারণা মুসলিমদের নিজেদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য। আমাদের এই পৃথিবীতে খাওয়া, ঘুম, মজা করা, বাচ্চা নেয়া আর মরে যাবার জন্য পাঠানো হয়নি। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সুন্দর গাড়ি আর বাড়ি করার জন্যেও নয়। আর তারপর মৃত্যু।   
তাহলে জানোয়ারের সাথে আমাদের আর কোন তফাৎ থাকলো না, একটুও না। তারাও খায়, ঘুমায়, জন্ম দেয়, আর মরে যায়। এর মাঝে তারাও গাছে একটা বাসা বানায় অথবা গুহার মধ্যে বসবাস করে কিংবা মাটিতে গর্ত খুড়ে। আমাদের গর্তটা শুধু কিছুটা উন্নত। এটুকুই। তাই না? 
পরিবহনের জন্য আল্লাহ তাদের প্রাকৃতিক মাধ্যম দিয়েছেন। আমরা তাদেরকে পরিবহন বানাই অথবা নিজেরাই পরিবহন তৈরি করি। একই জিনিস তো?   
তারা খাদ্য আর বাসস্থান খুঁজে। আর আমরা খাদ্য বাসস্থান খোঁজায় আরেকটু ভালো আর কি। আমরা উন্নত, কিন্তু কাজ তো একই।
যা আমাদের আলাদা করে তা হলো ইলাহের সাধনা। এটাই আমাদের আলাদা করে। এটাই আমাদের মানুষ বানায়।
কল্পনা করুন তো, চিন্তা করুন, যখন শয়তানের ওয়াসওয়াসা— যা নিয়ে আরো পরে কথা বলবো — যখন তা দুনিয়াতে ছেয়ে যাবে, তখন ইলাহের এই ধারণা প্রস্থান করবে। 
আপনারা জানেন, অনেক মানুষ বলে “আমি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করি না”। তাই না? আপনি বলতে পারেন, ঠিক আছে। দার্শনিক ধারণাগত মতপার্থক্য। তারপরেও আমরা সবাই মানুষ। যদিও সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস না থাকে।  
যখন ইলাহকে সমীকরণ থেকেই সরিয়ে দেবেন, তখন বিধিনিষেধের সীমানা অদৃশ্য হয়ে যাবে। তাই না? আর যখন সীমানা থাকে না, তখন আপনি যা ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। কারণ, সবইকিছুই সঠিক ! যা-ই করতে ভালো লাগে তা-ই সঠিক।  
আর প্রসঙ্গক্রমে, মানুষ কিন্তু এটা করছে! উদাহরণস্বরূপ, যাদের কোন ঈমান নেই, আল্লাহ তাদের পরীক্ষা নিচ্ছেন সম্পদ, ক্ষমতা, খ্যাতি, স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য সবকিছু দিয়ে। তাদের সবই আছে। আর তারা সবই করছে; যা-ই চাচ্ছে, যখনই চাচ্ছে, যেভাবে চাচ্ছে। 
অথচ দেখতে পাবেন তারা পুরো দিন পার করছে নেশায় বুঁদ, মাতাল হয়ে, বাস্তবতা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেন? জানেন সেটা? তাদের জিজ্ঞেস করুন, তারা বলবে, 
“আমার টাকা আছে, কোটি কোটি। সবচেয়ে দামী গাড়ি আছে। এমন পুরুষ বলবে, যাকে ইচ্ছা তাকেই আমি পেতে পারি। এমন নারী বলবে, যার সাথে ইচ্ছে থাকতে পারি আমি। মানুষ আমাকে সম্মান করে, তারিফ করে, কদর করে… কিন্তু আমি নিঃসঙ্গ। কেউ আসলে আমাকে প্রকৃত অর্থে ভালবাসে না। আমার কোন রব্ব নেই। আমার মুরাব্বি নেই কোন। কেউ নেই সত্যিকার অর্থে আমার অবলম্বন হওয়ার। মানুষ আমার আশে-পাশে থাকে আমার মালিকানাধীন জিনিসপত্রগুলোর জন্যে। তারা আসলে আমাকে ভালোবাসে না বরং আমার ভাবমূর্তিকে, আমার টাকাকে ভালোবাসে। কিন্তু কেউ এই আসল আমিকে ভালোবাসে না, তত্ত্বাবধান করে না।”        
আমি তখন কি বলি জানেন? যখন ইলাহ চলে যায়, যখন মালিকের কর্তৃত্ব চলে যায়, আর তারা কোন রবেও বিশ্বাস করেনা, তখন এই মানুষগুলোর বেঁচে থাকার ইচ্ছেই চলে যায়। দেখবেন, পৃথিবীর সবচাইতে ধনী, খ্যাতীমান, সুন্দর মানুষগুলো আত্মহত্যা করছে। আপনি ভাবেন, “আরে! কেনো তুমি? যেই লোক দশদিন যাবত খেতে পায়নি তারটা নাহয় বুঝলাম, সে হয়তো সকল সমস্যায় জর্জরিত। তারা নিজেদের মেরে ফেললে মানা যায়। তুমি আত্মহত্যা করলে? কীভাবে? কেন? তোমার তো সবই আছে!” 
পুরো দুনিয়া অবাক! তার কি হলো!
কখনো কখনো সমস্যা শুধুই মানসিক না। আবার কখনো কখনো সমস্যা শুধু আধ্যাত্মিকও না। কিন্তু খোদাহীনতা যা করেছে, তা আমরা উপেক্ষা করতে পারি না। সুরক্ষার সেই হাতল না ধরা— রব্বুন নাস, মালিকিন নাস, ইলাহিন নাস— এটা মানবতার কি অপূরণীয় ক্ষতি করেছে! এটা আমাদের কোথায় নিয়ে গিয়েছে!  
  
আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আত্মহত্যার প্রবণতা আজ সবচাইতে বেশী। অথচ যেকোনো সময়ের তুলনায় বিলাসিতার হার এই যুগে সবচাইতে বেশী। জীবনের সুবিধা আজ সবচাইতে বেশী। আর আত্মহত্যার হার কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোতে সর্বোচ্চ না। তাহলে কোথায় সর্বোচ্চ? দুনিয়ার সবচাইতে উন্নত দেশগুলোতেই। এমনটা কেন হচ্ছে? আত্মহত্যা কেন আমেরিকা, ক্যানাডা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াতে সবচাইতে বেশী? এখানেই কেন বাড়ছে? কি হচ্ছে এখানে? 
শহরতলীতেই হচ্ছে! যেখানে সবচেয়ে সুন্দর বাড়ি আছে, সুন্দর গাড়ি আছে! দেখুন এখনকার সঙ্গীতের কি অবস্থা, “জীবনটা ঘৃণা করি, মরে যেতে চাই, সব শেষ হয়ে যাক…সবকিছু মন্দ…।” নিজের ভাষায় বলছি, এগুলো গানের কথা না। কিন্তু… হাহাহা 
সঙ্গীত খুবই হতাশাজনক এখন। এর মাধ্যমে সংস্কৃতির ভিতরের অবস্থারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। 
রাব্বিন নাস, মালিকিন নাস, ইলাহিন নাস এই ক্রমবৃদ্ধি সম্পর্কে আমি আমার মন্তব্য উপস্থাপন করলাম। 


কোন মন্তব্য নেই

luoman থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.